আফগানিস্তানের প্রথম নীল তারকা: ইয়াসমিন আলির কাহিনী
আফগানিস্তানের শাসক তালেবানদের কঠোর নীতির মধ্যেও একজন নারী সাহসের সাথে নিজের পরিচয় বজায় রেখেছেন। ইয়াসমিন আলি, যিনি আফগানিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাস করছেন। তালেবানের প্রথম দফা শাসনের সময়ে তিনি কাবুলে ছিলেন এবং সেখান থেকেই তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয়।
ইয়াসমিন দাবি করেন, তিনি আফগানিস্তানে একমাত্র নারী, যিনি প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে অভিনয় করার সাহস দেখিয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক, এবং তিনি ‘ওনলি ফ্যানস’ ও ‘প র্ন হাবে’ মতো প্ল্যাটফর্মে পরিচিত। যদিও তালেবান সরকার তাকে চেনে এবং তার ছবি ও ভিডিও দেখে থাকতে পারে, তবে তারা তাকে ঘৃণা করেন। ইয়াসমিন বলেন, "তারা আমার সাহসের বিষয়টি বুঝতে পারে না।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, তালেবানরা মেয়েদের শরীরকে তাদের কর্তৃত্বের বিষয় হিসেবে দেখেন এবং মনে করেন, তার শরীর প্রদর্শন একটি অপরাধ। ইয়াসমিনের মতে, "তারা মনে করে, আমি প্রকৃত আফগান নয়, কারণ আমি প্রকাশ্যে আমার শরীর প্রদর্শন করছি।"
তবে ইয়াসমিন এই সব কথায় তেমন গুরুত্ব দেন না। তার ভাষ্য, "আমি আফগান তো কী হয়েছে! আমার দেশপ্রেম কতটা, তা কি তালেবান ঠিক করে দেবে?" তিনি বিশ্বাস করেন, তালেবানরা নারীদেরকে শুধু ‘বস্তু’ মনে করে এবং এই ধারণা তাকে চেনা।
এভাবে, ইয়াসমিন আলি তার অভিনয়ের মাধ্যমে আফগান নারীদের জন্য সাহসী একটি প্রতীক হয়ে উঠেছেন, যার কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্বপ্ন ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম কখনো থেমে থাকে না।